পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ইউনিয়নে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি,কৃষকদের মাথায় হাত ।
মোস্তফা মিয়া- পীরগঞ্জ,রংপুর থেকে
রংপুরের পীরগঞ্জের করতোয়া নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পানি বৃদ্ধি হওয়ায় উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি সহ কৃষকের আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অত্র ইউনিয়নের প্রায় ৮শত একর কৃষকের আমন ধানের জমি বন্যার ৬ষ্ঠ দিনেও পানির নিচে তলিয়ে আছে।
প্রকাশ, গত শনিবার সরেজমেিন উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়ন পরিদর্শণে গিয়ে দেখা যায়-বন্যার ৬ষ্ঠদিন অতিবাহিত হলেও অত্র ইউনিয়নের খালিশা মিশন, খাসতালুক, বাসুদেবপুর, অনন্তরাম পুর জলাইডাঙ্গা সহ চৈত্রকোল বিল এলাকার প্রায় ১৪টি গ্রামের কৃষকদের শত শত আমন ধানের জমি এখনো ২ থেকে ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে। ফলে অত্র ইউনিয়নের শত শত কৃষক কুল দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অনন্তরাম পুরের কৃষক জয়নাল মিয়া, কদম আলী, শামিম মিয়া, বাসুদেবপুরের নিশিনাথ চন্দ্র ও কুদ্দুস মিয়া, খালিশা মিশনের আগাষ্টাইন এবং মাইকেল এর সাথে কথা হলে তারা বলেন-পাশর্^বর্তী করতোয়া নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পানি বৃদ্ধি হয়ে সেই পানি বিলে প্রবেশ করায় আমাদের আমন ধানের ক্ষেত পুনরায় নতুন করে আবারও প্লাবিত হয়েছে। ৬ দিন যাবত এ সমস্ত ধান ক্ষেত পানির নিচে থাকায় পচে তা নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। তারা আরও জানান-শত শত একর আবাদী জমির ধান ক্ষেত বন্যায় পানির নিচে থাকলেও উপজেলা কৃষি অফিসার সহ মাঠ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তাকে পাশে পায়নি তারা।
এ ব্যাপারে উক্ত ইউনিয়নের দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা কাশমিরা বেগম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান- আমি প্রায় ক্ষতিগ্র¯’্য ৫শত একর আমন ধানের ক্ষেতের তালিকা উপজেলা কৃষি অফিসে জমা দিয়েছি। অনুরুপ অভিযোগ অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সবুজের। তিনি আরও জানান-বন্যায় তার ইউনিয়নের প্রায় ৮শত পঞ্চাশ একর আমন ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে আছে। এছাড়া প্রায় ২শত অসহায় পরিবারের কাঁচা ঘরবাড়ী ভেঙ্গে পড়ে গেছে। ইতিমধ্যে এর তালিকাও জমা করেছেন তিনি। অপর দিকে এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার ছাদেকুজ্জামান এর অফিসিয়াল মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযেগের চেষ্ঠা করা হলেও বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ফোনটি খেলা পাওয়া যায়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিসার ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সঠিক ভাবে কখনোই মাঠ পর্যায়ে কৃষদের কাছে আসে না। তারা অফিসে বসেই দ্বায়সারা ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। ফলে প্রকৃত কৃষক কুল বরাবরই সরকারি প্রনোদনা সহ সকল সুবিধা থেেেক বঞ্চিত হয়ে আসছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষেত্রেও অনুরুপ ঘটবে।